খুলনায় আগাম শীতকালীন বাঁধাকপি-ফুলকপি ক্ষেত মালিকদের মূখে হাসি

খুলনা বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় আগাম শীত মৌসুমে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাষ করা ক্ষেত মালিকরা আর্থিকভাবে লাভবান এর আশা করছেন। এবার যেমন ভালো ফলন তেমনি দাম ও ভালো।

 

খুলনার কয়েকটি জেলায় সরে জমিন ঘুরে জানা গেছে শীতকালীন এসব সবজি আধুনিক প্রযুক্তি ও চাষপদ্ধতির ব্যবহারে এখন বছরের অন্যান্য সময়েও আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। এতে বাজারে ভালো দাম পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।

খুলনা বিভাগের যশোর জেলার মনিরামপুর,নড়াইল মাগুরা, খুলনা ডুমুরিয়া, বাগেরহাটের ফকিরহাট মোল্লারহাট উপজেলার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে জানা যায়
কৃষকরা এবার বাঁধাকপি ও ফুলকপির ভালো ফলন পেয়েছেন।

কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাষ হয়েছে। যশোরের মনিরামপুরে ৯০ হেক্টর জমিতে, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় ৮০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ করা হয়েছে। এবার ভালো ফলন হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এসব সবজি এখন রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, বর্তমানে প্রতি বিঘা জমিতে বাঁধাকপি বিক্রি করে প্রায় ৯০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে। বাজারে কপির চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকরা অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় এবার দ্বিগুণ পর্যন্ত লাভ করছেন। নড়াইলের বেশ কয়েকটি এলাকায় কৃষকরা জানান, এবার দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষে প্রতি বিঘায় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং তিনি দ্বিগুণ লাভের আশায় আছেন।

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া গ্রামের কৃষক গৌড় পদ ও কৃষ্ণপদ রায় জানান, তিনি ৪০ শতক জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা, বিক্রি করেছেন প্রায় ১ লক্ষ টাকায়। একই গ্রামের মো. সিরাজ সরদার ৫০ শতক জমিতে বাঁধাকপি চাষ করে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচে এ পর্যন্ত ৯০ হাজার টাকার কপি বিক্রি করেছেন।

লালন হোসেন নামে আরেক চাষী জানান, তিনি দেড় বিঘা জমির বাঁধাকপি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

কৃষকদের মতে, কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা বিশেষ গরম সহনশীল জাতের কপির বীজ ব্যবহার করেছেন। এসব জাত অল্প সময়ে ফলন দেয় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়।

খুলনা বিভাগীয় কৃষি কর্মকর্তা ও ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইনসান ইবনে আমিন জানান, এ বছর ডুমুরিয়া উপজেলায় ৬৭ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন বাঁধাকপি এবং দুই হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে। তিনি বলেন, “কৃষকদের আগাম শীতকালীন কপি চাষে আগ্রহী করে তুলতে কৃষি বিভাগ নিয়মিতভাবে পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছরই ডুমুরিয়ায় আগাম শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের পরিধি বাড়ছে। এতে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, তেমনি স্থানীয় অর্থনীতিতেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এলাকার অনেকেই ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে আগ্রহী।

খুলনায় আগাম শীতকালীন বাঁধাকপি-ফুলকপি ক্ষেত মালিকদের মূখে হাসি

আপডেট : ০৪:১৬:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

খুলনা বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় আগাম শীত মৌসুমে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাষ করা ক্ষেত মালিকরা আর্থিকভাবে লাভবান এর আশা করছেন। এবার যেমন ভালো ফলন তেমনি দাম ও ভালো।

 

খুলনার কয়েকটি জেলায় সরে জমিন ঘুরে জানা গেছে শীতকালীন এসব সবজি আধুনিক প্রযুক্তি ও চাষপদ্ধতির ব্যবহারে এখন বছরের অন্যান্য সময়েও আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। এতে বাজারে ভালো দাম পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।

খুলনা বিভাগের যশোর জেলার মনিরামপুর,নড়াইল মাগুরা, খুলনা ডুমুরিয়া, বাগেরহাটের ফকিরহাট মোল্লারহাট উপজেলার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে জানা যায়
কৃষকরা এবার বাঁধাকপি ও ফুলকপির ভালো ফলন পেয়েছেন।

কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাষ হয়েছে। যশোরের মনিরামপুরে ৯০ হেক্টর জমিতে, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় ৮০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ করা হয়েছে। এবার ভালো ফলন হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এসব সবজি এখন রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, বর্তমানে প্রতি বিঘা জমিতে বাঁধাকপি বিক্রি করে প্রায় ৯০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে। বাজারে কপির চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকরা অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় এবার দ্বিগুণ পর্যন্ত লাভ করছেন। নড়াইলের বেশ কয়েকটি এলাকায় কৃষকরা জানান, এবার দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষে প্রতি বিঘায় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং তিনি দ্বিগুণ লাভের আশায় আছেন।

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া গ্রামের কৃষক গৌড় পদ ও কৃষ্ণপদ রায় জানান, তিনি ৪০ শতক জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা, বিক্রি করেছেন প্রায় ১ লক্ষ টাকায়। একই গ্রামের মো. সিরাজ সরদার ৫০ শতক জমিতে বাঁধাকপি চাষ করে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচে এ পর্যন্ত ৯০ হাজার টাকার কপি বিক্রি করেছেন।

লালন হোসেন নামে আরেক চাষী জানান, তিনি দেড় বিঘা জমির বাঁধাকপি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

কৃষকদের মতে, কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা বিশেষ গরম সহনশীল জাতের কপির বীজ ব্যবহার করেছেন। এসব জাত অল্প সময়ে ফলন দেয় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়।

খুলনা বিভাগীয় কৃষি কর্মকর্তা ও ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইনসান ইবনে আমিন জানান, এ বছর ডুমুরিয়া উপজেলায় ৬৭ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন বাঁধাকপি এবং দুই হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে। তিনি বলেন, “কৃষকদের আগাম শীতকালীন কপি চাষে আগ্রহী করে তুলতে কৃষি বিভাগ নিয়মিতভাবে পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছরই ডুমুরিয়ায় আগাম শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের পরিধি বাড়ছে। এতে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, তেমনি স্থানীয় অর্থনীতিতেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এলাকার অনেকেই ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে আগ্রহী।